গল্প - #হুজুরের_প্রেমের_পাগলী
পর্ব-- ০১
লেখক -- Easin Arafat ✍️🥰
মেয়েটি প্রাইভেট পড়ে বাসায় ফিরছিলো হঠাৎ দেখলো একটা হুজুর ছেলে আসছে, সে হুজুর ছেলে পছন্দ করে না
ক্ষ্যাত ভাবে।
তাই সে হেটে চলছে ভুলে তাকালো সে একবার হুজুরের দিকে, হুজুরকে দেখে মেয়েটি জীবনের প্রথম ক্রাস খেল।
মানুষ কি এতো সুন্দর হতে পারে, আসলে সেদিন ছেলেটার পরনে ছিল সাদা জুব্বা পাইজামা আর তার উপর কালো কোট আর কালো জুতা।
হাতে একটা ঘরি আর কাঁধে ব্যাগ।
আর চেহারা দিয়ে নুর ঝরছে,ছেলেটা নিচের দিকে তাকিয়ে হাটছে,চারপাশে কে কি করছে তার কোন খিয়ালি নেই,।
তাই মেয়েটা তার দিকে হা করে তাকিয়ে আছে!!
সে খেয়াল করলো না, সে হাটছে থাকলো নিজের মতো করে।
ও -- পরিচয় তো দেওয়া হয়নি,,আমি অবহেলার পাত্র
ইয়াছিন, মা বাবার ৩ সন্তানের মধ্যে বড়, ইস্কুল জীবন শেষ করে কলেজে ভর্তি হয়েছিলাম।
কলেজের পরিবেশ টা ভালো লাগলো না তাই মাদ্রাসাই ভর্তি হইছি। আসলে আজকাল তো ছেলেমেয়েরা পড়ালেখা করতে যায় না, সারাদিন পড়ালেখা বাদ দিয়ে আড্ডা দিয়ে বেড়ায় প্রেম করে বেড়ায়।
এসব আমাকে খুব প্রবাহিত করে,তাই আমি কলেজ জীবনকে বিদায় জানাই এবং মাদ্রাসাই পড়ি।
আর মেয়েটার কথা বলছিলাম,আর ওর নাম হলো শুভা মা বাবার একমাত্র শন্তান।
শুভা এবার ক্লাস 9 পড়ে।
এবার গল্পে ফিরে আসি।
ছেলেটা নিচের দিকে তাকিয়ে হেটে যাচ্ছে, আর শুভা এক দিকে দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।
হঠাৎ করে মোটরসাইকেলের হর্নে ধ্যান বাঙলো,
এতক্ষণে ছেলেটা অনেক দুরে চলে গেছে, তাই সে সব বাদ দিয়ে পিছু দাওয়া করতে লাগলো।
উদ্দেশ্য কোন বাড়ি যায়, সে তার প্রথম ক্রাস।
হঠাৎ করে ছেলেটা পকেটে মোবাইল বেজে উঠলো, পকেট থেকে মোবাইলটা বের করে রিসিভ করে দেখে তার খালাতো ভাই ইমনের ফুন,
কারণ সে মাদ্রাসা ছুটি থাকায় তার খালার বাড়ি যাচ্ছে, মোবাইলটা রিসিভ করে আসসালামু আলাইকুম, আমি ইমন,
আমি রাস্তাঘাট চিনতে পারছি না, সেই ছোট বেলাই আসছিলাম।
ইমন, ওয়ালাইকুম আসসালাম,তুমি কোন রাস্তায় আছো কত দূর??
আমি রাস্তা হাটছি,সামনে একটা দোকান আছে,নাম আব্দুর রাহমান স্টোর।
ইমন,বুঝতে পারছি, তুমি একটু দুকানে বসো আমি বাইক নিয়ে আসছি।
আমি,,আচ্ছা তাড়াতাড়ি আসো।
ইমন ৫ মিনিট ব্যাস।
আমি ফুন কেটে দিয়ে দোকানে বসলাম,বাইক নিয়ে যখন বসছে তখন আর হাটবো না।
এদিকে শুভা ভাবছে কোন ইমনের বাড়ি যাবে??
দেখিতো শুভা মিথ্যে বাহানায় দোকানে গেল,গিয়ে, দোকান্দার কে জিজ্ঞেস করলো এটা আছে নাকি ওটা আছে নাকি??
আর লক্ষ ইয়ছিনের দিকে।
এদিকে ইয়াছিন নিচের দিকে বসে আছে দোকানের ব্রেন্ছে।
এমন সময় ইমন বাইক নিয়ে এসে থামলো দোকানের সামনে।
বাইক থেকে নেমে চলো ভাইয়া বাসায় যায়।
কিন্তু ইমনকে দেখে মহা খুশি, কারণ ইমন শুভার চাচাতো ভাই।
তাই শুভা বলে উঠলো,
ইমন ভাইয়া তুই এখানে??
ইমন,আরে শুভা তুই এখানে আমি খিয়ালি করি নাই।
শুভা,তুই খিয়াল করবি কিভাবে, তুই তো অন্য কাউকে নিয়ে ব্যাস্ত,আর এটা কে??
ইমন, এটা আমার খালাতো ভাই।
আর তুই প্রাইভেট বাদ দিয়ে দোকানে কেন আর তোর এতো খুশি খুশি ব্যাপার কি???
আসসালামু আলাইকুম, 🥰🥰
বাকি গল্প ০২ পোস্টে, 🥰
Easin Arafat, ✍️🥰

0 Comments