⭕🔰 বেস্টফ্রেন্ডের প্রেমে ⭕🔰 👉পর্ব---:4

 

⭕🔰 বেস্টফ্রেন্ডের প্রেমে  ⭕🔰              👉পর্ব---:4👈 🔰 WRITER: অবনীর আব্বু ( আরিয়ান আরমান)🔰  রাইসা---: দেখ তাহলে ।।  এই বলে আমাকে ভিডিও দেখাতে লাগলো ।।  লাইব্রেরি থেকে বের হবার আমার পিছু পিছু একটা মেয়েও বের হলো ।। যার গায়ের জামাকাপড় ছিড়া দেখা যাচ্ছে ।। দেখে মনে হচ্ছে কেউ জোর করে কিছু করার চেষ্টা করেছে।। কিন্তু আমার এখনো স্পষ্ট মনে আছে ।। লাইব্রেরিতে তখন আমি ছাড়া আর কেউ ছিল না ।। তাহলে এই মেয়েটি ।। হ্যাঁ এবার বুঝতে পারছি ব্যাপারটা ।। এইসব কিছু আমাকে ফাসানোর জন্য করা হয়েছে ।। এখন জানি আমি হাজার বার বললেও কেউ আমার কথা বিশ্বাস করবে না ।।  , রাইসা---: তোর কী মনে হয় আমি এইসব করেছি ।। কিছুই বলছে না ।। মাথা নিচু করে কান্না করে যাচ্ছে ।। , আমি---: ওকে বুঝে গেছি আমি ।। এটাই তোর সাথে আমার শেষ কথা ।। আংকেলকে দেখে রাখিস ।। এই বলে চলে আসলাম ।। পিছন থেকে কয়েকবার রাইসার দিকে তাকালাম ।। ও আমার দিকে একবারের জন্য ফিরে তাকায়নি ।। ওর মাঝে আমার জন্য যে ভালোবাসা দেখেছিলাম ।। তাহলে সব কী মিথ্যা ।।  তারপর আমাকে সোজা পুলিশ স্টেশনে নিয়ে আসা হলো ।। , পুলিশ---: ওকে হাজতে ভরে রাখ ।। , আমি---: আপনাদের কোথাও ভুল হচ্ছে ।। আপনারা যা ভাবছেন আমি সেরকম কিছুই করিনি ।।  , পুলিশ---: মুখ বন্ধ রাখ ।। তুই কী করেছিস সেটা আমরা নিজের চোখে দেখলাম ।।। , আমি---: আমি যখন লাইব্রেরিতে ছিলাম ।। তখন ওখানে কেউই ছিল না ।।  , পুলিশ---: আচ্ছা তুই যদি কিছু না করিস তাহলে কলেজ চলে এলি কেন ।।  , আমি---: আমার ভালো লাগছীল না ওই জন্য ।। চলে আসলাম ।। , এই কথা শুনে সব পুলিশ হাসতে লাগলো ।।  তারপর আর কোন কথা না বলে আমাকে জোর করে হাজতে ঢুকিয়ে দিল।। , আমি---: আমার আব্বু আম্মু কে জানিয়েছেন ।। আমাকে যে এখানে নিয়ে এসেছেন ।। , পুলিশ---: বলে দিয়েছেন ।। তোর মতো কুলাঙ্গার ছেলেকে নিতে ওনারা আসবেন ।। কথাটা শুনে কান্না পেয়ে গেলো ।। শেষমেশ নিজের আব্বু আম্মুও অবিশ্বাস করলো 😭😭😭।। কী করবো এখন ।।     এভাবে দেখতে দেখতে একদিন একদিন চলে গেলে ।। জানি না একদিন কীভাবে পুলিশ স্টেশনে ছিলাম ।। সারারাত মশার কামড় খেয়েছি ।। সকাল হওয়ার পর একটা পুলিশ এসে বললো ।। , পুলিশ---: ওই ওঠ ।। বাইরে আয় ।। তোর জন্য একজন এসেছে ।। , আমি---: কে এসেছে ।।      , পুলিশ---: সেটা নিজে গিয়ে দেখে নে ।।       তারপর লোকটা দেখে অবাক হয়ে গেলাম ।। আর কেউ না রাইসার বাবা ।।               , আমি---: আপনি ।।          , আংকেল---: হুম বাবা আমি ।। রাইসার মুখে যখন কথাটা শুনলাম ।। কেমন জানি বিশ্বাস হলো না আমার ।।           , আমি---: আংকেল আমাকে এখান থেকে প্লিজ বের করে নিয়ে যান ।।               , আংকেল---: হুম ওই জন্যই তো আসলাম ।। আমার বিশ্বাস তুমি এই কাজ করতেই পারো না ।।           , তারপর আংকেল পুলিশের সাথে কথা বলে আমাকে বের করে নিয়ে আসলো ।। কী আজব দুনিয়া নিজের মা বাবা থেকে এলো না ।। আর যার সাথে আমার কোন রক্তের সম্পর্ক নেই তিনি এলেন আমাকে বাঁচাতে সত্যিই অদ্ভুত ।। , আংকেল---: এখন চলো আমাদের বাড়িতে ।।  , আমি---: না আংকেল ।।এমনিতেই আপনি যা করেছেন তার জন্য চির কৃতজ্ঞ থাকবো আপনার কাছে ।। , আংকেল---: কী বলছো ।। তুমি আমার জীবন বাঁচিয়েছো ।। তোমার জন্য এই টুকু করে আমি কোন আনন্দ পাচ্চি না ।। তোমাকে আমার বাড়িতে যেতেই হবে ।।         , আমি---: এটা তো আমার কতব্য ছিল ।। আপনার জায়গায় অন্য কেউ থাকলেও ঠিক একি কাজ করতাম ।। এখন নিজেকে নির্দোশ প্রমান করতে হবে ।।           , আংকেল---: ওকে তোমার যা মন চায় করো ।। কিন্তু তোমার জন্য আমি সবসময় আছি ।। কোন কিছু দরকার হলে সবার আগে আমাকে বলবে ।।               , আংকেলকে বিদায় দিলাম ।। আংকেলের বাসায় যাওয়ার কোন ইচ্চা নাই ।। ওখানে গেলে রাইসার মুখোমুখি হতে হবে ।। আমি চাই না আর ওর সামনে যেতে ।। বাড়িতে আসলাম ।। সোজা আম্মুর কাছে গেলাম ।। গিয়ে দেখী আম্মু শুয়ে শুয়ে কান্না করছে ।।  , আম্মু বলেই ডাকতেই আমার দিকে তাকালো ।।  আম্মু---: কেন এমনটা করতে গেলি ।। , আমি---: বিশ্বাস করো আম্মু এইসবের কিছুই জানি না ।। আমাকে ফাঁসানো হয়েছে ।।  , আম্মু---: আমিও বিশ্বাস করি তুই এটা করতে পারিস না ।। কিন্তু সবাই তো তোর নামে খারাপ কথা বলছে ।।  , আমি---: হুম কিন্তু যে করেই হোক নিজেকে নির্দোষ প্রমান করবো ।। আর যদি না পারি তাহলে কখনো তোমাদের কাছে ফিরবো না ।।  এই বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে এলাম ।। মোবাইলটা বের করে রাকিবকে কল দিলাম ।। রিং হওয়ার  সাথে সাথেই রিসিভ করলো ।।  , রাকিব---: তোকে আমি কল দিতে যাচ্ছিলাম ।। তুই বের হয়ছিস কথাটা শুনেছি আমি।। তাড়াতাড়ি কলেজের সামনে আয় ।।  , আমি---: মামা ফাসিয়ে দিল আমায় 😑।।  , রাকিব---: তোকে যা বললাম তাই কর ।। তাড়াতাড়ি আয় তোকে একটা  জিনিস দেখাই ।।  , আমি---: আসতেছি ।। তারপর ওর কথামতো কলেজের দিকে যেতে লাগলাম ।। কলেজের সামনে গিয়ে দেখী ও দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কী যেন দেখছে ।। আমি গিয়ে ওর কাঁধে হাত রাখলাম ।। তারপর ও আমার দিকে তাকিয়ে বললো ।।  , রাকিব---: চলে এসেছিস ।। দেখ তাহলে ।।  ও হাত দিয়ে সামনে দেখিয়ে দিল ।। সামনে তাকাতেই তো অবাক ।। যা দেখলাম  দেখী রাফি আর ওই মেয়েটা বসে আছে ।। যাকে ভিডিওতে দেখলাম ।। যেটা সন্দেহ করেছিলাম ওইটাই হলো ।।  , রাকিব---: কী আসল ব্যাপারটা বুঝতে পেরেছিস ।।  , আমি---: হুম যেটা ভেবেছিলাম সেটাই হলো ।।  , রাকিব---: এখন কী করবি সেটা বল ।। কিছু তো একটা করতেই হবে না হলে ত সবাই তোকে ।।  , আমি---: দাঁড়া ভাবতে দে ।।  , তারপর অনেকক্ষণ ভাবার পর একটা আইডিয়া পেলাম ।।   রাকিব---: কিছু তো বল ।। কী করবি এখন ।।  , আমি---: শুন তাহলে ( ওকে আমার প্লেনের ব্যাপারে বললাম) ।। এবার বল এতে কাজ হবে কীনা ।।  , রাকিব---: হবে মানে একশ ভাগ নিশ্চিত থাক ।।  , হঠাটই পিছন থেকে কেউ একজন বলে উঠলো ।।  এই চরিএহীন ছেলেটা কলেজে কীভাবে ঢুকলো ।।  কথাটা আর কেউ নয় রাইসা বললো ।।  , রাকিব---: তুই এভাবে বলছিস কেন ওকে ।।  , রাইসা---: তো কীভাবে বলবো ।। জানি না আজকে আবার কার সর্বনাশ করতে এসেছে ।।  , রাকিব---: সত্যিটা না জেনে তুই এমন করছিস ।। , রাইসা---: হুম কালকে ওর আসল রুপটা দেখলাম ।। ওর এই সহজ সরলতার  ভিতর যে একটা লম্পট চরিএহীন রুপ সেটা দেখলাম 😠😠।। বলে দে ওকে ও যেন আর আমার সামনে না আসে ।। আর তুইও ওর থেকে দূরে দূরে থাকবি ।।  , রাকিব---: তুই ভুল করছিস কিন্তু ।।  তারপর রাইসা চলে গেলো ।। এদিকে আমার চোখ দিয়ে এতক্ষণ পানি পড়ছিলো ।।  , রাকিব ---: দেখ মন খারাপ করিস না দেখবি সব ঠিক হয়ে যাবে ।। ও সত্যিটা জানে না এই জন্য এমন ভিহেব করছে ।।  , আমি---: তোর কী মনে হয় সত্যিটা জানার পর ওকে সেই সুযোগ টা দিব কখনোই না ।। বিশ্বাস ছিল  সবাই অবিশ্বাস করলেও ।। ও অনন্ত আমায় বিশ্বাস করবে ।।  , রাকিব---: আচ্ছা বাদ দে এখন চল।। কাজটা সেরে নিই ।। , আমি---: হুম ।।  তারপর দুজনেই রাফির দিকে এগুতে  লাগলাম,,,,,,,,,,, , #চলবে#  , ( # গল্পে একেবারেই সাড়া পাচ্চি না ।। যারা গল্প পড়েন অবশ্যই লাইক কমেন্টস করবেন ।। অন্যথায় না হয় আনফ্রেন্ড হবেন ।। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন #) , # আল্লাহ্ হাফেজ #

Post a Comment

0 Comments